পলাশ গঙ্গোপাধ্যায়'এর কবিতা

 


গুচ্ছ কবিতা

পলাশ গঙ্গোপাধ্যায় জন্ম ১৯৮০ সালের ২৯’  ফেব্রুয়ারিতে মালদা জেলা শহরে। কিশোর বয়সেই লেখার জগতে প্রবেশ। প্রথম কবিতা প্রকাশ পায় তাঁর নিজের সম্পাদিত 'কিশোর মন' পত্রিকায়। পরবর্তীতে লিখেছেন বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের বিভিন্ন কাগজে। প্রায় দু'দশক ধরে 'সান্নিধ্য' পত্রিকার সম্পাদনা করছেন। আড্ডা ও ছবি তোলার পাশাপাশি গান গাইতে ভালবাসেন, গান বাঁধতেও। কবির প্রকাশিত 'অদৃশ্যরেখা' কাব্যগ্রন্থ থেকে পাঠকের জন্য কিছু কবিতা রইল। 





কবিতা


জন্ম

 
প্রয়োজন ছিলো তাই আসা
অথবা না প্রয়োজনে
অথবা রূপ-রস-গন্ধ আস্বাদনে
বিবেচ্য এই যত শব্দ শুনি-
ভাষা খুঁজে পাই
নিরন্তর ছুটে চলি সংগ্রামে
যাপিত যাপন জীবন সংগ্রামে
আর কোটরে কোটরে জমা হয় উপলব্ধি
সমার্থক ও বিপরীত দৃশ্যগুলোর সাথে
পরিচিত হই ক্রমশ..
 
 
 
 
 

সমাজ

 
ফুলের নাম নতুন
পুরোনো গাছেই ফুটেছে।
 
 
 
 
 

চিৎকার

 
প্রতিবাদ শব্দটির মধ্যে
যত ঘৃণা লুকিয়ে থাকে
আমরা ততটা সজীব নই
শুধু আমাদের মধ্যে সার ছড়িয়ে দিলে
হাইব্রিড বেড়ে উঠি দিনের নিয়মে
 
 
 
 
 

বিকল্প

 
আপনি হারিয়েছেন যে মেলায়
আমিও সে মেলায় হারিয়ে হারিয়ে
প্রায় বিকেলেই সিনেমা দেখার নাম করে
বেরিয়ে পড়ি সবুজ দেখার সন্ধানে
খোলা আকাশের দিকে তাকাই
একটু নীল দেখি, নদীর জল দেখি
সন্ধের আবছায় অচেনা পোকাদের সুর শুনি অবিরত
 
বিজ্ঞাপিত এই শহর থেকে অনেক দূরে এরপর
সত্যিই আমার একটা রাতের ভীষণ প্রয়োজন
চাঁদ দেখবো বলে।
 
 
 
 
 

রং

 
আমায় কে দিয়েছে এত উপঢৌকন স্রোত
বলে তো দেয় নি জ্ঞাতে
আমি চোখ রেখে রেখে জেনেছি
                    চিনেছি বুঝেছি
সাদা-র বিচ্ছুরণে এত ঘনঘটা
আর তুমি প্রসঙ্গ এনে দিলে অন্ধ বিষয়ক!
 
 
 
 
 

অভিজ্ঞান

 
ক্ষতের ভেতর গভীর ক্ষত
সেটাই কি বিক্ষত
অখ্যাতরা জানে তার মানে
নিরাময়ের টোটকা জানে ভেষজ ও বিজ্ঞান
আমি জানি শুকনো ক্ষতের দাগ

মজার ব্যাপার দাগ-ই অতীত, দাগই ভবিষ্যৎ
 
 
 
 
 

টার্গেট

 
শাপ আর পাপ
তাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে আবারও
বাড়তি সকাল থেকে এই দিনে দিনে
জড়িয়ে পড়ছে কী ঘনঘটা
কী ধুম
এখানে কোনো স্রোত কিন্তু নেই
এরপর মনে হয় প্রেতেরও আভার কেউ
শুধু একলা করে দেয় তুমুল এলাকা
আমরা চিনে নিই পরিচিত আলো
নির্ভরশীলতা থেকে বহুদূরে হাঁটাহাঁটি
 
 
 
 
 

কবিতা বিষয়ক – ২

 
দেখো হন্তদন্ত হয়ে ছুটে যাচ্ছেন কবি
ছুটে যাচ্ছে তরুণতম কেউ কেউ
গন্তব্য সেই কবিসন্মেলন, কবিতা পাঠের আসর      লিট্ল ম্যাগাজিন।
আলাপ হচ্ছে, আদান-প্রদান হচ্ছে ঠিকানা চিরকুট : সঞ্চারী ক্রমিক
ফাঁক বুঝে কিছুটা চালাকি, অদর্শনে লেখা পাঠিয়ে দিচ্ছে কেউ কেউ
সেই সব কাগজে। ফসলে ফলছে
বাংলা কবিতার আবাদি প্রচুর, বরবাদি শূন্য, মরাচাল নাকি কিছু নেই
আসলে কবিতারও কি এতটাই প্রতাশ্যা ছিলো?





অব্যক্ত


বিস্ময় এবং চলবে চিহ্ন কথা শেষ হয়ে আসে
কমা এবং দাড়ি চিহ্নেও কথা শেষ হয়ে আসে

বোঝাতে পারলাম কি?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ

Shatanik Roy বলেছেন…
ভালো লাগল না।
নামহীন বলেছেন…
এই মন্তব্যটি একটি ব্লগ প্রশাসক দ্বারা মুছে ফেলা হয়েছে।